ধীরে ধীরে বিলাসবহুল গাড়ির চল বাড়ছে। অনেকেই স্বপ্ন দেখেন দামী বিলাসবহুল গাড়িতে চড়ার। কিন্তু সেই স্বপ্ন আর সফল হয়না। এমতবস্থায় আপনিও যদি বিলাসবহুল গাড়ি কেনার কথা ভাবেন তা কীভাবে সম্ভব তাই বলতে চলেছি আমরা। এমন অনেক উপায় রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি আপনার স্বপ্নের গাড়িটিকে সহজেই কিনতে পারেন। চলুন তাহলে আপনাদের জানাই এই বিষয়ে।
একটি বিলাসবহুল গাড়ি বেশ মোটা অংকের দামের সাথে আসে। ফাইন্যান্সিং এর সময় এমন নয় যে, বেশ কঠিন পথেই যেতে হবে। আপনি বেশ সস্তায় গাড়ি কিনতে পারবেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে আপনার ক্রেডিট স্কোর, ঋণের পরিমাণ এবং ঋণদাতার মতো বিষয়গুলির উপর নির্ভর করবে। বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নির্ভর করে সুদের হার থাকবে 6.9% থেকে 9.5a% পর্যন্ত। উল্লেখ্য যে, কিছু ব্যাংক এবং NBFC দামী গাড়ির ক্ষেত্রে (40 লক্ষ টাকার ওপরে) বিশেষ হারে লোন অফার করে।
মাথায় রাখবেন, ঋণ নেওয়ার আগে সমস্ত জায়গাতে বিকল্পগুলির তুলনা করে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। প্রসেসিং ফি, প্রি-পেমেন্ট চার্জের মতো বিষয়গুলি সম্পর্কে চিন্তা করে নিশ্চিত করুন যে, আপনার প্রতি মাসের EMI বাজেটের মধ্যে ফিট হচ্ছে কিনা। লক্ষ্য রাখুন যাতে বিলাসবহুল গাড়ি কিনতে গিয়ে আপনার সমস্ত বাজেট ওখানেই না খরচ হয়ে যায়। প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, বিশেষজ্ঞদের মতে আপনার মাসিক EMI মোট মাসিক আয়ের 30% এর বেশী হওয়া উচিৎ নয়।
এছাড়া একটি গাড়ি কেনা যেমন মনের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি করে তেমনই উদ্বেগও নিয়ে আসে। নানান প্রশ্ন ঘুরতে থাকে মাথার মধ্যে। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। কোনোভাবেই এই পরামর্শ কোনো ডিলারের থেকে নেওয়া উচিৎ নয়। গাড়ি কেনার আগে সেই নিয়ে ভালো করে রিসার্চ করে রাখুন, যাতে ঠকতে না হয়। গাড়ি কেনার সময় ফাইন্যান্সের সাহায্য নিতে পারেন। অনেক অনেক বিলাসবহুল গাড়ি নির্মাতারা ফাইন্যান্সের বিকল্প অফার করে। এই ডিলগুলি কখনও কখনও বিশেষ অফারের সাথে আসে, যা ব্যাংকের সুদের হারের চেয়ে কম সুদে গাড়ি কেনা যায়।
নতুন গাড়ি কেনার আগে সমস্ত দিক খুঁটিয়ে দেখে নেওয়া জরুরী। এছাড়া Re-selling মার্কেটে গাড়িগুলো কেমন এবং কতদামে বিক্রি হয় তাও নজরে রাখুন। তবে গাড়ি কেনার সাধ্য না থাকলে আরেকটি অপশন রয়েছে, আর সেটি হলো লিজিং। অর্থাৎ টাকার বিনিময়ে গাড়িটি আপনি চালানোর অভিজ্ঞতা নিয়ে পারেন। মাসিক পেমেন্টের মাধ্যমে এই গাড়িগুলো চালানো সম্ভব।